যশোরের শার্শায় মাদক কারবারীদের ছুরিকাঘাতে সবুজ (২২) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় মূল হত্যাকারী সোহেল রানাকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। তাকে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর ৫ টায় উপজেলার জামতলা টেংরা হাইস্কুলের সামনে থেকে আটক করা হয়। আটক সোহেল রানা বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের রমজান শেখের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ) সার্কেল নিশাত আল নাহিয়ান।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০ টার দিকে উলাশী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত দক্ষিণ বুজরুজ বাগানগামী মাটির রাস্তার উপর থেকে স্থানীয়রা ছুরিকাঘাতে আহত দুই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সবুজ (২২) ’র মৃত্যু হয়। অপর আহত রাজু (২২) কে হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ হত্যাকান্ডের এই ঘটনার ৯ ঘন্টার ব্যবধানে হত্যাকারী সোহেল রানাকে আটক করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ) সার্কেল নিশাত আল নাহিয়ান জানান, নিহত সবুজ, রাজু ও তাদের সঙ্গী কালু ঘটনার দিন রাতে মাঠে কলাবাগান পাহারা দিচ্ছিলেন। রাত ১০ টার দিকে আসামী সোহেল রানা ও তার সহযোগী আল আমিন ওই পথ দিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিলো । এসময় নিহত সবুজ তাদের গায়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে দাঁড়াতে বলে পরিচয় জানতে চায়। তখন তারা জানায়, তারা দক্ষিণ বরুজবাগান গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নুরুন্নবী ওরফে বাবুর লোক । বাবুকে ফোন কল দিতে গেলে সবুজ ফোন কেঁড়ে নেয়। পরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় । একপর্যায়ে সোহেল রানা তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে প্রথমে রাজুকে আঘাত করে। পরে সবুজ প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রাজু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, খবর পেয়ে হত্যাকারীকে আটক করতে পুলিশ মাঠে নামে এবং ঘটনার ৯ ঘন্টার মধ্যে সোহেল রানাকে আটক করা হয়। তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসএইচ